রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আটক মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) কাওরান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ধর্ষক মাহফুজুর রহমান মজনুর বাড়ি হাতিয়ার নোয়াখালীতে বাড়ি। তার বয়স ৩০। দীর্ঘদিন তার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ১২ বছর আগে ট্রেন থেকে পরে তার দাঁত ভেঙে যায়। পেশায় হকার হলেও সে চোর ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, রাতে গাজীপুর থেকে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বিস্তারিত জানানো হবে।
মিজানুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তিকে আটকের পর তার ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে সনাক্ত করেছেন। ওই শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক একজন সিএনজি চালক। তার বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আটক করা হয়। এরপর দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঢামেকে ছাত্রীর কাছে ছবি পাঠানো হয় ওই যুবকের। ওই ছাত্রী নিশ্চিত করার পর তাকে আটক দেখায় র্যাব।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।