বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর অনিশ্চিত। তবে টাইগাররা পাকিস্তানে গেলে সেখানে যাবেন বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরাও। সেক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি কে দেখবে? ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠনের মূখপাত্ররা বলছেন, বিসিবি'র সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংগঠন। নিরাপত্তা আর পাসপোর্টে পাকিস্তানের ভিসা পরবর্তী জটিলতার কারণে সাংবাদিকদের অনাগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তারা।
বিসিবির বারান্দার এই মুখগুলো পরিচিত সারাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। প্রাণের ক্রিকেটের মাঠ আর মাঠের বাইরে খুঁটিনাটি খবরগুলো তো তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আসে টিভির পর্দায় বা সংবাদপত্রে। অনিশ্চিত পাকিস্তান সফর শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখলে তাদের মাঝে অনেকেই যাবেন দলের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে এই ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন কারা?
সে অর্থে অভিভাবক নেই, তবে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে ক্রীড়া সাংবাদিকদের আছে কয়েকটি সংগঠন। তবে সফর নিশ্চিত না হওয়ায় তারাও নিতে পারছেন না কোনো পদক্ষেপ।
মোস্তফা মামুন বলেন, ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির সাথে আমরা আলাপ আলোচ অনা করব। সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত বটে কিন্তু কনসার্ন থাকলে তাদের পক্ষে সেরা রিপোর্টিং টা করা সম্ভব হয় না।
এক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে অন্য কিছু। যাদের নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টা করা হবে, সফরে তারা কতটা আগ্রহী?
বিএস্পিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন বলেন, পাকিস্তান গেলে অন্য দেশে যেতে সমস্যা হয়, পরে ইউরোপে যেতে হতে পারে।
বিএসপিএ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুজ্জামান রাজিব বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত সিরিজ হয় তাহলে সাংবাদিকরা যেতে চায় তাহলে অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ডের নিশ্চয়তা পেয়েই সিদ্ধান্ত নেবেন যে তারা যাবেন নাকি যাবেন না।
পেশাটাইতো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার। হয়তো সে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণও করবেন সংবাদ সৈনিকরা। তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় কতটা পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে পারবেন সেটাও থাকছে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে।