Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষণ আইনে সংস্কার চায় ঢাবি শিক্ষক সমিতি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৫২ PM
আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৫২ PM

bdmorning Image Preview


ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও দেশে প্রচলিত ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। 

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার পর ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাসুদ কামাল ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক বিপ্লব গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।’

ড. এ এস এম মাসুদ কামাল বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে, ধর্ষক যদি ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে হত্যা করে, তাহলে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এখন ধর্ষণ করবে আবার হত্যাও করবে, এরপর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে নাকি যাবজ্জীবন, সেটা নির্ণয় করা হবে। এর মধ্যে দীর্ঘসূত্রিতা থাকবে, তা জাতি বরদাশত করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি জায়গায় বলা আছে ধর্ষক যদি স্বীকার করে তাহলে তার ১০ বছরের সাজা হবে। এমনকি সেটি কমে ৫ বছরও হতে পারে। কোনো সভ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এটি কাম্য হতে পারে না। এই আইনের সংস্কার প্রয়োজন। ঢাবি শিক্ষক সমিতি অনতিবিলম্বে একটি গোলটেবিল বৈঠক করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের কোন জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেই জায়গাটা চিহ্নিত করবে। রাষ্ট্র সেটিকে গ্রহণ করে এ সমাজকে যারা নষ্ট করছে, তাদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিচার ও আইন ব্যবস্থাকে সংস্কার করবে।’

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এটি যেন সর্বশেষ ঘটনা হয়। আমরা চাই এমন একটি সামাজিক বিপ্লব গড়ে তুলতে, যার মাধ্যমে নারীর জন্য এ শহর হবে নিরাপদ। এ দেশের সব জনপদ হবে নিরাপদ।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি বিষয় আমাদের বলা খুবই প্রয়োজন, সেটি হলো, আমরা জানি না ধর্ষণ এবং এই ধরনের পাশবিক নির্যাতনের সাজা কী হয়। আইনি কতগুলো কাঠামো-পরিকাঠামো আছে। কিন্তু আমাদের দাবি, আইনি কাঠামোর মধ্যে যদি কোথাও ঘাটতিও থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ করব যে, আপনারা উদ্যোগ নেন। এই ধরনের পাশবিকতা যখন সমাজে সংঘটিত হয়, তার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যেটি আছে সেটির মনে হয় প্রবিধান রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে সমাজের জন্য।’

Bootstrap Image Preview