জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল শুক্রবার। এদিন থেকেই শুরু হচ্ছে তার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহূর্তে গ্রেপ্তার হয়ে ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারের বন্দিজীবন শেষে লন্ডন-দিল্লি হয়ে ৭২’র ১০ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সিক্ত হন লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসায়। পূর্ণতা পায় দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অর্জন। আনন্দের সেই সময়কে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতীকী আয়োজনসহ বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি থাকবে ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের ক্ষণগণনা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ঐদিন বঙ্গবন্ধু কিভাবে আসলেন তার সবকিছু হয়তো দেওয়া যাবে না কিন্তু কিভাবে অবতরণ করলেন, কিভাবে ট্রাকে উঠলেন, কিভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেলেন সেগুলো দেখানো হবে।
দেশজুড়ে সব সিটি করপোরেশনসহ ৫৩ জেলা আর ২ উপজেলায় বসানো ডিজিটাল ঘড়িতে হবে ক্ষণগণনা। এছাড়া এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও ইতিহাস সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র।
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, উত্তরার পাশাপাশি মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ‘বিশেষ ক্ষণগণনা যন্ত্র’ বসানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
ড. কামাল আবুল নাসের চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু উৎসবের মধ্যে এটাকে সীমাবদ্ধ রাখবো না। আমরা কিছু কাজ করতে চাই তার মাধ্যমে, কিছু সেবা, কিছু উন্নয়নের মাধ্যমে, কিছু ইতিহাস চেতনার, কিছু বাঙ্গালীয়ানাকে আরও তুলে ধরার এবং সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর যে দর্শন, যে মানবিকতা, মানুষের প্রতি যে ভালবাসা এই পুরো বিষয়গুলোকে আমরা তুলে ধরতে চাই।