টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য নষ্ট করা যাবে না, কমানো যাবে না দিনের সংখ্যা। রীতিমত জনরোষ বাড়ছেই আইসিসির প্রস্তাবিত চারদিনের টেস্টকে ঘিরে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি টেস্ট নিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। একই দাবিতে তার পেছনে লাইন দিয়েছেন বেন স্টোকস, ভারনন ফিল্যান্ডাররা। আছেন মিকি আর্থারের মতো কোচও।
২০২৩ সাল থেকে চারদিনের টেস্ট আয়োজনে বেশ উৎসাহী আইসিসি। টেস্ট থেকে একদিন কমিয়ে সেটা ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে কাজে লাগাতে চায় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। তাতে ক্রিকেট আরও একটু ব্যবসাসফল হবে সংস্থাটির।
আইসিসির এমন উদ্যোগে বেশ বিরক্ত শ্রীলঙ্কান কোচ মিকি আর্থার। তিনি আবার আইসিসি ক্রিকেট কমিটির একজন সদস্যও। পুনেতে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টুয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাউথ আফ্রিকান এ ভদ্রলোক, ‘দেখুন, পাঁচদিনের টেস্টকে তার মতো চলতে দিন। টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে। টেস্ট ক্রিকেট আপনার মানসিক, শারীরিক, দক্ষতার পরীক্ষা নেবে। অনেক সময় আমরা পাঁচদিনের খেলাতেও রুদ্ধশ্বাস ফল দেখি।’
টেস্টের আবেদনের সঙ্গে আর্থিক লাভ-ক্ষতির দিকটি মেলাতেও ঘোর আপত্তি আর্থারের, ‘আমরা হয়তো আর্থিক চাপের বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা বলছি। আমার মতে টেস্ট ক্রিকেটের আবেদনের সঙ্গে এই দিকটা মেলানো ঠিক হচ্ছে না। যেকেউ চাইবে শেষদিনে উইকেট পড়ুক, সমস্ত উত্তেজনা এই পাঁচদিনের বেলাতেই জমা হয়। এরমাঝেও আমরা রোমাঞ্চকর টেস্ট ড্র দেখি।’
আইসিসির ক্রিকেট কমিটির আরেকজন সদস্য শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিনিও চান না কমিয়ে দেয়া হোক টেস্টের দিন সংখ্যা, ‘পরবর্তী সভায় আমরা এটা নিয়ে কথা বলবো। জানি না এরপর কী হবে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত টেস্ট পাঁচদিনেই থাকুক। কোনো পরিবর্তন যেন করা না হয়।’
ভারত কোচ রবি শাস্ত্রীও আইসিসির বিপক্ষে মত দিয়েছেন, ‘টেস্ট চারদিনের করা হলে তা হবে আহাম্মকের কাজ। এমন হলে আমরা একদিন হয়তো সীমিত ওভারের টেস্টও দেখবো। পাঁচদিনের টেস্টে পরিবর্তনের কোনো মানে হয় না। যদি পরিবর্তন করতেই হয় তাহলে শীর্ষ ছয় দল নিয়ে পাঁচদিনের টেস্ট আয়োজন করা হোক, বাকি ছয় দল নিয়ে চারদিনের টেস্ট।’