Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ: নাগরিক অধিকার পরিপন্থী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০২০, ০২:০৪ PM
আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০২০, ০২:০৪ PM

bdmorning Image Preview


সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে জম্মু-কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মীরে কেন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন কাশ্মীর টাইমস-এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য গুলাম নবি আজাদ।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রামান এবং সুভাষ রেড্ডি ও বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বঞ্চে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে বিচারকরা বলেন, ‘তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইন্টারনেট। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতারই একটি অংশ। সুতরাং এ বিষয়ে দ্রুত পর্যালোচনা করতে হবে।”

পাশাপাশি, সমস্ত নির্দেশ এবং মোবাইল সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ১৪৪ ধারার অধীনে যে সব নির্দেশ রয়েছে সরকারকে সেগুলোও প্রকাশ করতে হবে বলেও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। ফলে স্বাধীনতার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের ‘বিশেষ রাজ্যের’ মর্যাদা বাতিল করা হয়। এখন থেকে রাজ্যগুলো সরাসরি কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত হবে। 

৩৭০ ধারা বাতিলের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা বা কারফিউ জারি করা হয়। বহিঃবিশ^ থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে ইন্টারনেট সংযোগ মোবাইল বার্তা, স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়। 

কাশ্মীরের সাবেক গর্ভনরকে গৃহবন্দি করা সহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আটক করা হয়। যেন তারা ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে কোনো বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে না পারে। 
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে দাবি করে, জম্মু-কাশ্মীরের হাজার হাজার নাগরিককে নির্যাতন করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। যদিও সেনাবাহিনী নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

Bootstrap Image Preview