বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। দেশে আজ ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা বাড়ছে এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। দেশে আজ আইনের শাসন নেই।
ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। আমরা উদযাপন করব। কিন্তু আমরা কী পেলাম। দেশে আজ কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। দেশের জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চাই, দেশে যেন আইনের শাসন কার্যকর হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। তা না হলে কোনো দিন তারা সমাজকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, সেই ঘাটতি দেশের মানুষের জন্য এবং আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। সংবিধানে বলা আছে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে। জনগণের মতামত থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, এ দেশ কি সম্ভ্রমহানির রোল মডেল? সরকারকে সারাদেশের মানুষের এই প্রশ্ন করতে হবে। সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা ভোট করছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ভোট করছি নারীর সম্ভ্রম রক্ষার জন্য। খুন, ধর্ষণ বন্ধ করার জন্য আমি এই নির্বাচন করছি। ৩০ তারিখের নির্বাচনে যদি আগের মত হয়। তবে আমরা এর সবকিছুর জবাব দেব।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ রহমান মান্না, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল সালাম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমীরী বেগম ছন্দা, গণস্বাস্থের ট্রাস্ট ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির কার্যকারী সভাপতি সা. কা. ম. আনিসুর রহমান খান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।