ছাগলের একত্রে দুইটি বা তিনটি বাচ্চা প্রসব হওয়ার ঘটনা পুরনো। কিন্তু একসাথে দেশি ছাগলের পেট থেকে পাঁচটি বাচ্চা হওয়ার ঘটনা বেশ নতুন। এই আশ্চার্য ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খালিয়া ও জলকর রোহিতা গ্রামে। এই দুই গ্রামের ফাতেমা খাতুন ও উত্তম দাসের পোষা ছাগলের পাঁচটি করে বাচ্চা হয়েছে। যা এলাকায় রীতিমত সাড়া ফেলেছে। এই খবরে প্রতিদিন অনেকেই ফাতেমা খাতুন ও উত্তম দাসের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
খালিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, পাঁচ বছর আগে ছাগলটি কিনে আনি। এরআগে তিনবার চারটি করে বাচ্চা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে একসাথে ছাগলার পাঁচটা বাচ্চা হয়েছে। তার মধ্যে চারটা পুরুষ (খাসি) ও একটা মেয়ে। তবে, বাচ্চাগুলো দুধ পাচ্ছে না। একসাথে ছাগলের পাঁচ বাচ্চা হওয়ার কথা শুনে গত দুই দিন ধরে লোকজন বাড়ি ছাড়ছে না।
ওই গ্রামের বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম বলেন, জীবনে এই প্রথম শুনলাম একসাথে ছাগলের পাঁচ বাচ্চা হতে। খবর শুনেই দেখতি আসছি।
জলকর রোহিতা গ্রামের উত্তম দাস বলেন, চারবছর আগে চারহাজার টাকায় ছাগলটি কিনেছিলাম। এরআগে তিনবার বাচ্চা দিয়েছে। ১৫-১৬দিন আগে বাচ্চা হয়েছে পাঁচটি। একসাথে পাঁচ বাচ্চা হওয়ায় বাচ্চাগুলো বেশ দুর্বল।
স্থানীয় রাজগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক (পশু) বিল্লাল হোসেন বলেন, ফাতেমা খাতুনের ছাগলের বাচ্চাগুলো সুস্থ আছে। দুধ বাড়ানোর জন্য মাকে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার ছিদ্দিকী বলেন, এখন দেশিজাতের (ব্লাক বেঙ্গল) ছাগলের পাঁচটি করে বাচ্চা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মায়ের দুধের ঘাটতি হলে বাচ্চাগুলোকে গরুর দুধ খাওয়াতে হবে। সেক্ষেত্রে একপোয়া দুধের সাথে তিনপোয়া পানি মিশাতে হবে। এছাড়া বাজারেও দুধ পাওয়া যাচ্ছে। সেটা কিনে খাওয়ানো যেতে পারে।