কখনও প্রাসাদে গৃহবন্দি হয়ে, কখনও বিদেশে নির্বাসিত হয়ে, কখনও বা দেশের কারাগারের দণ্ডিত কয়েদি হয়ে কাটাতে হয়েছে চীনের কুইং সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট পুয়ি’কে।
১৯০৮ সালে মাত্র দুই বছর বয়েসে উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনে বসলেও তিনি ১৯১২সালে জিনহাই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে কুইং সাম্রাজ্যের পতন ঘটান সান ইয়াত সেন। পুয়ি-এর জীবনীকার এডওয়ার্ড বের ‘পুয়িং, দ্যা লাস্ট ট্র্যাজিক ল্যাম্প অফ চিনা কিংডম এসব তথ্য জানান। এ্যারা ডাইজেস্ট ও দ্য ওয়াল গত শুক্রবার তার বই নিয়ে রিভিউ করেছে।
১৯২৪ সাল পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। ওইবছর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে তাকে জাপানের তিয়েনতসিন পাঠানো হয়।তখন পুয়ি’র বয়স উনিশ। জাপান ১৯৩২ সালে মাঞ্চুকুয়ো নামের একটি রাজ্য করে সেখানকার ‘পুতুল সম্রাট’ করে পুয়ি’কে। পরে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করার পর চিনের রোষ থেকে বাঁচতে মাঞ্চুকুয়ো সাম্রাজ্যকে চিনের সম্পত্তি বলে ঘোষণা দেন পুয়ি।
১৯৪৯ সালে চীনে সাও সে তুং এর নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলে পুয়ি জেলবন্দী হন। বিদেশি অতিথিদের দেখানো হতো চিনের শেষ সম্রাটের পরিণতি। পরে ১৯৬৭ সালে তিনি ৬১ বছর বয়সে মারা যান। এর আগে বছর পাঁচেক আগে কারা মুক্তি পেলে তিনি রাস্তায় রাস্তায় উদ্বাস্তুর মতো ঘুরতেন।