মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে।মোনাজাত পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার কিছু পর আখেরি মোনাজাত শুরু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা’র আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। এরপর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশিদ। পরে বাংলায় বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা আব্দুল মতিন।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে কয়েক লাখ মুসল্লি অবস্থান নিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে। এরপরও রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে ময়দানমুখী মুসল্লিদের স্রোত দেখা গেছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মুসল্লি এসেছেন ময়দানে।
এ কারণে উত্তরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা দক্ষিণে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীমুখী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শাখা রোডগুলো থেকেও কোনো যানবাহন সড়কে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
রোববার (১২জানুয়ারি) বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা।এরপরই শুরু হয় মোনাজাত।
এ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯৬৩ সাল থেকে। এবারের ইজতেমা হবে ৫৫তম। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা এক পর্বে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নেন বলে এটি বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। পরে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় তিনদিন করে ইজতেমার আয়োজন করা হয়।