সম্প্রতি ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান তেহরানের ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয়। গত বুধবারের এ ঘটনায় বিমানটির ১৭৬ আরোহী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনার তিনদিন পর দোষ স্বীকার করেছে ইরান। এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইরানের রাজধানী তেহরানে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এদিকে, ইরানি বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ১১ ই জানুয়ারি তেহরানে গণ-বিক্ষোভ চলাকালীন আটক হওয়া ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ারকে গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানিয়েছে দেশটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার জানিয়েছেন, তিনি হাজার হাজার ইরানি বিক্ষোভকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি স্বীকার করেছে যে, ইউক্রেনগামী একটি বিমানকে দুর্ঘটনাক্রমে গুলি করেছিল তারা। এ ঘটনায় বিমানের ১৭৬ জন আরোহী নিহত হয়েছিল।
ইরান দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পরে হাজারো ইরানি তেহরানে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এসব কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই অনুভূতিপূর্ণ বার্তা ফারসি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখে শেয়ার করা হয়েছে।
টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের সাহসী, সহিষ্ণু জনগণের কাছে : আমি আমার রাষ্ট্রপতিত্বের শুরু থেকেই আপনাদের পাশে রয়েছি এবং আমার প্রশাসন আপনাদের পাশে থাকবে। আমরা আপনাদের প্রতিবাদ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আপনাদের সাহস দ্বারা অনুপ্রাণিত।
এরপর দ্বিতীয় একটি টুইটে ট্রাম্প তেহরানকে 'ইরানি জনগণের চলমান প্রতিবাদের বিষয়ে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি পর্যবেক্ষণ এবং তথ্যাদি জানাতে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।'
তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের (মুখ বন্ধ করতে) গণহত্যা হতে পারে না। ইন্টারনেট বন্ধও করা যাবে না। বিশ্ব দেখছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইট বার্তায় ইরানি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ইরানি বিক্ষোভকারীদের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ইরানি জনগণের কণ্ঠস্বর সুস্পষ্ট। খামেনির অধীনে তারা সরকারের মিথ্যাচার, দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং আইআরজিসির বর্বরতায় বিরক্ত হয়ে পড়েছে। আমরা ইরানি জনগণের সাথে দাঁড়িয়েছি যাদের আরও ভালো ভবিষ্যত প্রাপ্য।
এছাড়া শনিবার তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ারকে আটক করার দায়ে ইরানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আমিরকাবির বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্ররোচিত করার অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। তবে পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : দ্য ইপোক টাইমস