ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলামানিকে মার্কিন বিমান হামলায় হত্যার ঘটনায় তাকে দাফনের আগেই প্রতিশোধ নেয় তেহরান। ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার জেরে গত ৮ জানুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দেশটি।
ইরানের দাবি, ওই হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মার্কিন সেনা আহত হয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, আহত ২২৪ সেনাকে সে দেশে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
তবে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, তাদের কোনো সেনা ওই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এবার সিএনএন এর বরাত দিয়ে পলিটিক্স নাইজেরিয়া বলছে, ইরানের হামলা চালানোর দুই ঘণ্টা আগেই জানতে পেরেছিল মার্কিন বাহিনী। সে অনুসারে সেনাদের সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে বাঙ্কারে রাখা হয়। ইরানের হামলার পুরো সময়জুড়ে মার্কিন সেনারা বাঙ্কারে লুকিয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১১ টার সময়ই মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ইরাকের ওই দুই ঘাঁটিতে থাকা সবাইকে জানিয়ে দেন কখন এবং কীভাবে হামলা চালানো হবে। রাত ১১টার সময় সেনাদের সেখান থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিল না। সে কারণে পাশের বাঙ্কারে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
এরপর ওই রাতেই দেড়টা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান। যা আরো দুই ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। জানা গেছে, মার্কিন সেনারা ওই ঘাঁটির অদূরেই বাঙ্কারে লুকিয়েছিল।
মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, এটা একেবারেই মিরাকল যে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
যদিও ইরান বলছে, তাদের ২২টি ক্ষেপণাস্ত্রই মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে একটিও ভূপাতিত করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও কাজে দেয়নি। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের রাডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও দাবি করেছে।