মে মাসের প্রখর রোদে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা সেই মা হাজেরা বেগমের (৮০) এবার ঠাঁই হয়েছে গোয়াল ঘরে। কনকনে শীতে মাকে গোয়াল ঘরে রেখে নিশ্চিন্তে নিজের ঘরে ঘুমান তিন ছেলে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উথুরী গ্রামের হাজেরা বেগম; মৃত রেশমত আলীর স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের জননী। বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি এখন নিদারুণ অসহায়।এ ঘটনায় ছেলে আব্দুস সাত্তার ও উজ্জ্বলকে আটক করে থানায় নিয়েছে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুখলেছুর রহমান খোকা জানান, স্থানীয় যুবক কাউসার খান রোববার সকালে গোয়াল ঘরের মেঝেতে হাজেরা বেগমকে শুয়ে থাকতে দেখে প্রতিবাদ করেন। এতে তাকে অপমান করেন বড় ছেলে আব্দুস সাত্তার।
তিনি জানান, গত মে মাসে ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম চলৎশক্তিহীন বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। এভাবে টানা তিন দিন হাজেরা বেগম সেখানে পড়েছিলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সফিকুল ইসলাম বলেন, রেশমত আলী প্রায় ১৬ বছর পূর্বে মারা যাওয়ার আগে ১২ কাঠা জমি স্ত্রী হাজেরা বেগমকে লিখে দিয়ে যান। পরে গোপনে ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম হাজেরা বেগমের কাছ থেকে সেই জমি লিখে নেন। এ খবর জেনে অন্য ছেলেরা হাজেরা বেগমের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে দুই ছেলেকে থানায় নিয়ে এসেছেন। এর আগেও প্রখর রোদে হাজেরা বেগমকে ফেলে রাখা হয়। সেই সময় ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম মায়ের ভরনপোষণ দেবে বলে মুচলেকা দেন।
তিনি জানান, কেউ অভিযোগ করলে এই দুই ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।