গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে গরু চুরির অপবাদে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।রোববার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবারে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে পুলিশ রানা মিয়া ও আব্বাস মিয়া নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম রাফিকুল ইসলাম (১৩)। সে উপজেলার দহবান ইউনিয়নের ধুমাইটারী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নেরর ধুমাইটারী গ্রামের রাজা মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে এক গরু চুরি হয়। গরুচোর সন্দেহে পাশের বাড়ির রাফিকুলকে ওই রাতেই ধরে নিয়ে যায় একই গ্রামের ফজলু, ইয়াজুল ও নাজমুল। তারপর তাকে সারারাত গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে তারা।
পরদিন শনিবার সকাল ৯টায় রাফিকুলকে স্থানীয় আফসার প্রামাণিকের বাসায় নিয়ে যায় তারা। এরপর হাত-পা বেঁধে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় তনু প্রামাণিক, তাজু প্রামাণিক, তুহিন প্রামাণিক, লেলিন প্রামাণিক, সাবু প্রামাণিক ও মুসা প্রামাণিক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাফিকুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।রাফিকুলের ওপর নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান জানান, এঘটনায় রাফিকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।