Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১০ জনের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:০৪ PM
আপডেট: ১৩ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:০৪ PM

bdmorning Image Preview


২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ৬২টি দুর্ঘটনায় ১১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৫ জন।

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল, হাটিকুমরুল থেকে বগুড়া, বগুড়া থেকে নগরবাড়ি ও নাটোর থেকে বনপাড়া- এ চারটি মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১২৬ কিলোমিটার। এসব মহাসড়কে গত বছর ৪৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮১ জন। এছাড়া, রায়গঞ্জ, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ২৬টি দুর্ঘটনায় মারা যান আরো ২৯ জন। তবে মামলা এড়াতে স্বজনরা লাশ নিয়ে যাওয়ায় কিছু দুর্ঘটনার তথ্য রেকর্ডভুক্ত হয়নি। ফলে উল্লিখিত হিসাবের চেয়ে দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত পরিমাণ আরো বেশি।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, গত বছর হাটিকুমরুল-বগুড়া, বগুড়া-নগরবাড়ি, নাটোর-বনপাড়া ও হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের নলকা পর্যন্ত ২৯টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। মামলা হয়েছে ২৯টি। এর বাইরে আরো কিছু দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন, সড়কে যত্রতত্র ওভারটেক, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় বা হেলপারকে দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া, বেহাল রাস্তাঘাট ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করাও দুর্ঘটনার কারণ।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহিদ আলম জানান, গত বছর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও হাটিকুমরুল সংযোগ সড়কের নলকা পর্যন্ত মহাসড়কে ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হন।

দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে অপরিকল্পিত সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণকে দায়ী করেন সিরাজগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাজী আনছার আলী। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে বেশকিছু বাঁক রয়েছে, যার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত দেখা যায় না। এটা দুর্ঘটনার বড় কারণ।

তিনি আরো বলেন, চালকরাও ওভার স্পিডে গাড়ি চালায়। আবার কখনো কখনো ঘুমের ঘোরে তারা গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচলের কারণেও ঘটে দুর্ঘটনা।

এদিকে, সড়ক-মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন হলেও সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয় এবং মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনা এখনো অব্যাহত আছে। এ কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ সব ক্ষেত্রে এখনো নতুন আইনের প্রয়োগ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মিলাদুল হুদা বলেন, মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। নতুন সড়ক আইনে কিছু নতুন ধারা যুক্ত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো প্রয়োগে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা আসেনি। চূড়ান্ত নির্দেশনা আসলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক-মহাসড়কগুলো নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা হবে।

Bootstrap Image Preview