Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বেঁচে আসা ‘অলৌকিক’: মার্কিন বাহিনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৩৩ PM
আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ধকল সওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলছে, হামলার তীব্রতায় তারা বিস্মিত। অক্ষত ফিরে আসতে পারায় এ সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের আইন আল-আসাদ সামরিকঘাঁটিতে ক্ষতির মাত্রাই ইরানের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কথা বলে দিচ্ছে।মার্কিন বাহিনী বলছে, অঞ্চলজুড়ে ইরানসমর্থিত বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কা রয়ে গেছে।

ওই বিমানঘাঁটির পরিচালনায় থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টাসি কোলম্যান বলেন, কেউ আহত হয়নি, এটি অলৌকিক।পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাকের আনবার মরুভূমিতে বিশাল মার্কিন ঘাঁটিতে বসে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন। ওই ঘাঁটিতে দেড় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ ভাবতে পারবেন যে, তাদের ওপর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, অথচ এতে কেউ আহত হননি।হামলার স্থলে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জাহাজ কনটেইনার দিয়ে বানানো একটি স্থাপনা ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

আঘাতে ভারী কংক্রিটের ব্লাস্ট দেয়াল নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। জাহাজ কনটেইনার চুরমার এবং চেয়ার, আসবাবপত্র ও বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন উপাদান পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।

কয়েকজন সেনা বলেন, ব্লাস্ট দেয়ালের পেছনে একটি আশ্রয়স্থলের ভেতরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে।

বিমানঘাঁটিতে প্রায় একডজন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। একটি ব্যাপক সুরক্ষিত অঞ্চল থেকে আরেকটিতে যন্ত্রপাতি ও সেনা সরানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে মার্কিন বাহিনী।

সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই। নিজেদের বাহিনীর সদস্যদের রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় কমান্ডারদের ওপর দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন কর্মকর্তা সার্জেন্ট টম্মি কাল্ডওয়েল বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগেই সেখানে একটি হামলার আভাস পেয়েছিলাম। কাজেই যন্ত্রপাতি অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, রাত ১০টায় সব কর্মীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। লোকজন এটিকে খুব মারাত্মকভাবে নিয়েছিল। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ক্ষেপণাস্ত্র আসতে শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা এ হামলা অব্যাহত রয়েছে।

হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা দেখতে বাইরে বের হওয়া সার্জেন্ট আরমান্ডো মার্টিনেজ বলেন, তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, কীভাবে একটি ক্ষেপণাস্ত্র কংক্রিটের ব্লাস্ট ওয়ালকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, যখন একটি রকেট এসে একটি বস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, এটি যেন সন্ত্রাসী।

Bootstrap Image Preview