সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে সিলেটে তাকে নিয়ে কোনো ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলেও প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে নিয়ে সৃষ্ট আলেম-ওলামাদের দুইটি পক্ষের সঙ্গে বুধবার প্রশাসন বৈঠকে বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সিলেটে কোনো ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা আজহারী বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
সোমবার সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মুকিগঞ্জ বাজারে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে 'তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে' প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল মাওলানা আজহারীর। তবে আজাহারীর আগমনের ব্যাপারে দুপক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। মাহফিলের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন উপজেলার আলিয়া ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামা এবং তাদের সমর্থকরা।
একই দিন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্তের হাজারী সেনাগ্রাম মাঠে ও সিলেটের ওসমানীনগরে আরেকটি মাহফিলে বক্তব্য রাখার কথা ছিল মাওলানা আজহারীর। কিন্তু সেখানেও আজহারীকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনা তৈরি হয়।
কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম আলেম সমাজ, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে বলা হয়, মাওলানা আজহারীর ওয়াজে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও বিতর্ক তৈরি করছে, তাই সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য ওয়াজ মাহফিলে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ভবিষ্যতে সিলেটে তাকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আলীম উদ্দিন, হরিপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হিলাল আহমদ, মাওলানা জিল্লুর রহমান, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন, ফয়েজ আহমদ বাবর, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাকের, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন প্রমুখ।