Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিরপুরে রাসেলের ব্যাটিং তান্ডব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৫৩ AM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ১০:৫৩ AM

bdmorning Image Preview


উইকেট হাতে আছে মাত্র ২টি। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ৩১ রান। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়েই ‘ট্রেড মার্ক’ ঝড় তুললেন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। এক ছোট্ট অথচ গতিময় এক ঝড়েই ধুলিস্যাৎ হয়ে গেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে খুলনার সঙ্গী হলো রাজশাহী রয়্যালস।

২২ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন আন্দ্রে রাসেল। এর মধ্যে ছক্কা মেরেছেন তিনি ৭টি। বাউন্ডারি ২টি। অর্থ্যাৎ ৫০ রানই এসেছে তার বাউন্ডারি আর ছক্কা থেকে। ২০তম ওভারের তৃতীয় বলকে ছক্কা পরিণত করেই রাজশাহীকে ফাইনালে তুলে দেন আন্দ্রে রাসেল।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলার রুবেল হোসেনের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহী রয়্যালস। দ্বিতীয় ওভারেই আফিফ হোসেন ধ্রুবর উইকেট তুলে নেন রুবেল। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান ধ্রুব। লিটন দাসের দুর্ভাগ্য। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসেই রান আউটের শিকার হলেন তিনি। তার আগে ৬ বলে করলেন মাত্র ৬ রান।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে রায়াদ এমরিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে অলক কাপালি ফিরে গেলে রাজশাহী আরও বিপদে পড়ে যায়। ৩৪ রানে ৩ উইকেট পড়ার পরই জুটি বাধেন ইরফান শুকুর এবং শোয়েব মালিক। দলীয় ৮০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হন শোয়েব মালিক। যদিও তিনি খেলেন ২২ বল।

৪২ বলে ৪৫ রান করে আউট হন ইরফান শুকুর। তবে দারুণ জুটি গড়ে রাজশাহীকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে যান তিনি। শোয়েব মালিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। এরই মধ্যে মোহাম্মদ নেওয়াজ ১৪ রান করে আউট হন এমরিতের বলে।

ফরহাদ রেজা ৩ বলে ৬ রান করে আউট হলে রাজশাহীর সাময়িক বিপদ বাড়ে। কামরুল ইসলাম রাব্বি মাঠে নেমে কোনো রান না করেই যখন ফিরে গেলেন, তখন বিপদটা আরও ঘণিভূত হয়।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ই শেষ করে দিলো চট্টগ্রামের সব আশা আকাঙ্খা। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে তার ঝড় শুরু। এরপর ১৯তম ওভারে মেহেদী হাসান রানাকে পিটিয়ে তিনি এবং আবু জায়েদ রাহী মিলে তোলেন ২৩ রান। এর মধ্যে ১৭ রান নেন রাসেল। আবু জায়েদ রাহী মারেন একটি বাউন্ডারি এবং একটি সিঙ্গেল। সঙ্গে একটি ওয়াইড।

শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রানের। কিন্তু এক ওভারেই রাসেল আর রাহী মিলে তুলে নেন ২৩ রান। বাকি থাকলো ৬ বলে ৮ রান। শেষ ওভার করার জন্য চট্টগ্রামের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বল তুলে দেন শ্রীলঙ্কান অ্যাসেলা গুনারত্নের হাতে। প্রথম দুই বলই তিনি দিলেন ডট বল। কিন্তু তৃতীয় বল দিলেন ওয়াইড।

যার পলে ৪ বলে রাজশাহীর প্রয়োজন হয় ৭ রান। তৃতীয় বলে আন্দ্রে রাসেল মারলেন বিশাল ছক্কা। একই সঙ্গে বোলার দিলেন নো বল। এক বল থেকেই এসে গেলো সাত রান। এই এক ছক্কাতেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেলো রাজশাহী।

Bootstrap Image Preview