পঞ্চগড়ে গত চার দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। অবশ্য গত মঙ্গলবার থেকে সকালেই সূর্যের দেখা মিলতে। এতে উত্তরের এ জনপদের মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। শ্রমজীবীরা কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে আগের মতোই।
আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রাও একটু বেড়েছে। গত বুধবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোম ও মঙ্গলবার দুদিনই পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে সূর্যের তাপে স্বস্তি ফিরলেও বেলা ডোবার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে থাকে পাল্লা দিয়ে। সাথে সাথে উত্তুরে ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতাও অনেকটাই বেড়ে যায়।
সন্ধ্যা, রাত ও ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। এদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় রয়েছে আগের মতই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটে নিম্ন আয়ের মানুষের। রাত ৯টার পর পরই রাস্তা ঘাট হাঁট বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।