Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমিরের প্রসংশায় ভাসলেন কোহলি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪৪ PM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


ক্রিকেট মাঠে চিরশত্রু বিরাট কোহলি ও মোহাম্মদ আমির। কিন্তু খেলার বাইরে প্রকৃত বন্ধু তারা। এগিয়ে আসেন একে অপরের বিপদে। একজনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হন আরেকজন। একজন অপরজনকে প্রশংসায় ভাসান। ফের এর প্রমাণ পাওয়া গেল।

২০০৮ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। তখন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এক যুগ পর গেল বুধবার তারই হাতে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার তুলে দিল আইসিসি। পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবেও তাকে বেছে নিল বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।

‘ব্যাড বয়’ থেকে দায়িত্বপূর্ণ অধিনায়ক হয়ে ওঠার পেছনে নিরলস পরিশ্রম রয়েছে কোহলির। রয়েছে ত্যাগ ও শৃঙ্খলার অসংখ্য গল্প। ২০১১-১২ অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনি সমর্থকদের অশ্লীল ইঙ্গিত করে সমস্যায় পড়েন তিনি। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কর্তন করা হয় তার।

২০১৩ সালে আইপিএলে একসময়ের সতীর্থ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে মাঠেই বাকবিতণ্ডায় জড়ান কোহলি। দুদলের ক্রিকেটাররা এসে দুজনকে সরিয়ে নেন।

২০১৬-১৭ মৌসুমে টেস্টে স্টিভ স্মিথকে ‘প্রতারক’ বলতেও পিছপা হননি কোহলি। গেল বছর সেই তাকেই দর্শকদের বিদ্রূপের হাত থেকে রক্ষা করে সবার মন জয় করেন তিনি। মূলত সে কারণেই ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতীয় সমর্থকদের বিদ্রূপের শিকার হন স্মিথ। এর আগের বছর কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরায় এ পরিস্থিতির মুখে পড়েন তিনি।

ওই সময় এগিয়ে আসেন কোহলি। অজি ক্রিকেটারকে ব্যঙ্গ করা থেকে বিরত রাখতে দর্শকদের অনুরোধ করেন তিনি। বরং নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা স্মিথকে আরও উৎসাহ দিয়ে স্বাগত জানানোর আহ্বান জানান ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। কার্যত এ কারণেই পুরস্কারটি জিতেছেন তিনি।

যদিও আইসিসির কাছ থেকে এ সম্মাননা পেয়ে বিস্মিত কোহলি। বুধবার মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এত বছর নানা ভুল করার পরও ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পেয়ে বেশ অবাক হয়েছি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পথচলা শুরুর পরও কোহলির শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে নিজের আমূল পাল্টে ফেলেন তিনি। তার উপলব্ধি, নিজেকে শুধরে নেয়ার জন্য ‘প্রত্যেককেই জায়গা দেয়া উচিত।

টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক বলেন, শুরুতে একজন বদমেজাজি থাকতে পারে। পরে সে শান্তও হতে পারে। তাই তাকে শুধরে নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে এ রকম কিছু হোক, আমি চাই না।

স্মিথের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিরাট বলেন, সে যে পরিস্থিতি থেকে ফিরেছিল, সেটি সহজ ছিল না। আমি তা অনুভব করেছিলাম। দুয়ো দেয়ার অর্থই তার অসহায়তার সুবিধা নেয়া। এ ছাড়া ভারতীয় সমর্থকরা খেলাকে বেশি প্রাধান্য দেন।

তিনি বলেন, কোনো ক্রিকেটারের আবেগে আঘাত করা উচিত নয়। ‘আমি চাই একজন বড় ক্রিকেটারের চেয়ে ভালো ব্যক্তিত্বের জন্য মানুষ আমাকে মনে রাখুক। ছোটবেলায় ভাবতাম কী করে বিশ্বখ্যাত হওয়া যায়। এখন বুঝেছি, প্রশংসার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সম্মান। ভক্তরা যদি আমাকে সম্মানের চোখে দেখেন, সেটিই সেরা প্রাপ্তি।

কোহলির কথা শুনে অভিভূত পাকিস্তানের পেসার আমির। তার বক্তব্য শোনার খানিক পরই এক টুইটে তিনি বলেন, সেরা ক্রিকেটারের মুখ থেকে সেরা কথাটাই শুনলাম।

Bootstrap Image Preview