Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শনিবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কমে যাচ্ছে বিষয়, কমছে চাপ: শিক্ষামন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৮ PM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে তৈরি করা হবে। এর আলোকে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কাজ শুরু করা হয়েছে। পরীক্ষা ও বিষয়ের বাড়তি চাপ কমানো হচ্ছে। পাঠদান পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হবে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। যেসব পাঠ্যপুস্তক পড়ে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে তা আসলে কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে কাজে আসছে না। আমরা তাদের শুধু শিক্ষিত বেকার করে গড়ে তুলছি। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে তৈরি করা হবে।

একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা হলে তা নিয়ে অনেকে হাসিঠাট্টা করা হতো বলে জানান দা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এখন তার আর কোনো সুযোগ নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। প্রতিটি খাতই আজ ডিজিটালাইজড হয়ে উঠছে। বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকেও ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে।

দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। তারা দেশের রেমিট্যান্স বাড়াচ্ছেন। তবে তাদের অনেকে অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ বলে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাদের অভিজ্ঞ করে বিদেশে পাঠাতে পারলে দেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স বাড়ত এবং তাদের জীবনমান বেড়ে যেত। তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

‘কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক বিদ্যা শেখালেও তাদের মূল্যবোধ, মানবতাবোধ, সততা শেখাতে পারছে না। এ কারণে অনেকে শিক্ষিত হলেও তা সঠিক কাজে আসছে না বলে এখনও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ ও মানবতাবোধ তৈরির লক্ষ্যে তার আলোকে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বাড়তি চাপ ও বাড়তি পাঠ্যবইয়ের চাপ কমানোর কাজ শুরু হয়েছে’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, সঞ্চালক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ খান প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview