মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সিনেটের ১০০ আইনপ্রণেতা শপথ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সিনেটের আইনপ্রণেতাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মোট ১০০ জন সদস্য রয়েছেন। অভিশংসন বিচারে জুরির ভূমিকায় থাকবেন তারা। শুনানির পর তারাই প্রতিনিধি পরিষদের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৃহস্পতিবার সিনেটের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাইকেল সি স্টেনজার উচ্চকক্ষের কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান ও মামলার প্রধান বাদী অ্যাডাম স্কিফ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস সিনেটরদের ‘নিরপেক্ষভাবে বিচার’ করতে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এরপর সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মাইক ম্যাককনেল প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিচারের কার্যক্রম আগামী মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ উচ্চকক্ষে তা একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিচারে ট্রাম্পের পক্ষে কারা লড়বেন, হোয়াইট হাউস তা এখনো জানায়নি। তবে প্যাট সিপোলোনে ও জে সেকুলো প্রেসিডেন্টের কৌঁসুলিদের নেতৃত্ব দেবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই অভিশংসনের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দিতে কংগ্রেসের পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ধোঁকাবাজি’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয় কোনো প্রেসিডেন্ট উচ্চকক্ষ সিনেটে অভিশংসন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।