Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফজর নামাজ পড়তে না পারলে করণীয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৪৬ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশা ও ফজরের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ দুই সময় মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে জামাত দুটিতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। এ জন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বলেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে শরিক হতে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৫৪)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬)

ফজরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফজরের নামাজের সময় হলো, ঊষার উদয় থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬১২)

সুতরাং ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারলে বা ভুলে যাওয়ার কারণে ফজর নামাজ ছুটে গেলে তার ওপর কাজা করা ওয়াজিব। কেননা রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তার কাফফারা হলো যখনই তা মনে হবে, তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৪)

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামাজ আদায় না করা কবিরা গুনাহ। আর প্রতিদিন ভুল করা গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন, আয়াত: ৪-৫)

তাফসিরবিদ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন উল্লিখিত আয়াতে সেসব নামাজির কথা বলা হয়েছে, ‘যারা নামাজের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতে আদায় করে।’ (তাফসিরে কুরতুবি, খণ্ড : ২০, পৃষ্ঠা: ২১১)

Bootstrap Image Preview