মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না শিখর ধাওয়ান। প্রতিপক্ষ স্টিভেন স্মিথ তখন কি মুখ চেপে হাসছিলেন? যদি হেসে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই পরে অনুশোচনাতেও পুড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। ধাওয়ানের কষ্টটাও নিশ্চয়ই চাপা পড়ে গেছে স্মিথের কষ্ট দেখে।
রাজকোটে একই ম্যাচে দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে আক্ষেপে ভাসলেন! প্রথমে ভারতের হয়ে ধাওয়ান করলেন ৯৬ রান, পরে রান তাড়ায় নেমে স্মিথ থামলেন ৯৮-এ। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা হলো না অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের।
স্মিথের এই দুঃখটা আরও বাড়িয়েছে দলের হার। ৩৪১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও একটা সময় এই স্মিথ আর মার্নাস লাবুশানের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা হেরেছে ৩৬ রানের বড় ব্যবধানেই। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ভারত।
লাবুশানে আউট হওয়ার আগে ৩১তম ওভারে ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১৭৮। কিন্তু লাবুশানে ৪৬ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হওয়ার পরই ম্যাচটা ভারতের দিকে হেলে পড়ে।
তারপরও স্মিথ একটা প্রান্ত ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে হতাশায় ডোবান কুলদ্বীপ যাদব। ১০২ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৯৮ রান করে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হন বোল্ড। পরের সময়টায় কেউই আর দলের চাহিদা মেটানোর মতো ব্যাটিং করতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্য শুরুর ভরসাটা দিতে পারেননি আগের ম্যাচে আড়াইশোর্ধ্ব রানের ওপেনিং জুটি গড়া ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ১৫ আর অ্যারন ফিঞ্চ ৩৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন। পরের সময়টায় স্মিথ-লাবুশানের লড়াই এবং তারপর বোলারদের দাপটে ম্যাচ বের করে নেয়া স্বাগতিকদের। ৩০৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে মোহাম্মদ শামি। টানা দুই বলে দুই উইকেটসহ ৫৮ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন নভদ্বীপ সাইনি, রবীন্দ্র জাদেজা আর কুলদ্বীপ যাদব।