আগেও করতেন, কম বেশি হাত ঘোরানোর নজির আছে ক্যারিয়ারে প্রথম থেকেই। তবে তার মিডিয়াম পেস বোলিংটা ভাল হয়েছে অল্প কিছুদিন ধরে। সৌম্য সরকারের স্বল্পগতির বোলিংটা ইদানীংকালে ভালই হয়। শুধু ঘরের ক্রিকেটে নয়, নিকট অতীতে জাতীয় দলের পক্ষেও বল হাতে মাঝেমধ্যেই ব্রেক থ্রু দিচ্ছেন সৌম্য।
এবারের বিপিএলে তো রীতিমতো নজরকাড়া অলরাউন্ডিং পারফরমেন্স। বল হাতে ১২ উইকেট আর বোলিংয়ে ৩০৩ রান। তারপরও তার নামের পাশে অলরাউন্ডারের তকমা নেই। কিন্তু তিনি এখন প্রায় নিয়মিতই বোলিং করেন। একটু সিমিং কন্ডিশন পেলে সৌম্যকে দিয়ে টি-টোয়েন্টি’তে কয়েক ওভার চালিয়ে দেয়া যায়। কাজেই তার দলে থাকার অর্থ একজন স্টক পেসার থাকা।
কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেয়া হয়েছে পাঁচজন জেনুইন পেস বোলার।।রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম আর আলআমিন হোসেনের সঙ্গে নতুন মুখ হাসান মাহমুদ।
১৫ জনের দলে মেহেদি হাসান আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে অলরাউন্ডার ধরলে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান আটজন; তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর নাজমুল হোসেন শান্ত। দলে একজনও বাঁহাতি স্পিনার নেই , কিন্তু পাঁচ পাঁজন পেসার ।
কিন্তু কেনো?- তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘মূলত লাহোরের (টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভেন্যু) আবহাওয়া, উইকেট তথা কন্ডিশনের কথা বিবেচনায় এনেই পাঁচজন পেসার নেয়া হয়েছে। কারণ লাহোরে এখন প্রচন্ড ঠান্ডা। বাংলাদেশের চেয়েও শীত বেশি। কুয়াশা, শিশিরও পড়ে প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে সবগুলো ম্যাচ দিবারাত্রির। যার মানে কুয়াশা আর শিশির ভেজা মাঠে খেলা। ঐ কন্ডিশনে বাড়তি স্পিনার খেলানো রীতিমত ঝুঁকি। আমরা সে ঝুঁকি নিতে চাইনি। কুয়াশা ভেজা মাঠে বল স্কিড করবে। হয়তো পেসাররা বাড়তি সাহায্য পাবে। এসব ভেবেই আমরা পাঁচ জন পেসার নিয়েছি স্কোয়াডে।’
মানা গেল কন্ডিশনের কথা ভেবেই দলে পাঁচ পেসার। তার মানে ধরেই নেয়া যায় লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের একাদশে খেলতে দেখা যাবে অন্তত তিন পেসারকে। সেই তিনজন কারা? তা জানা যাবে ম্যাচের সময়েই।