Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বস্তিতে বিদ্যুতের বৈধ সংযোগের আবেদন করায় খুন হন ছাত্রলীগ নেতা রাকিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৪০ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৪০ PM

bdmorning Image Preview


বনানীর কড়াইল টিএন্ডটি বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুত্ লাইনের সংযোগ রয়েছে। বস্তির ঘরে বিদ্যুত্ সংযোগ নিতে হলে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিতে হয়। অবৈধ সংযোগে প্রতি বছর এই সিন্ডিকেট অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা তোলে।

বনানীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেন হামজা কড়াইল টিএন্ডটি কলোনির বাসিন্দা।

বস্তিতে বৈধ বিদ্যুত্ লাইনের সংযোগের জন্য তিনি ডেসার গুলশান জোন অফিসে আবেদন করেন। আর এই আবেদন রাকিবের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। অবৈধ বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া ঐ সিন্ডিকেটটি উঠে পড়ে লাগে তার বিরুদ্ধে। ঐ সিন্ডিকেটটি কড়াইল টিএন্ডটি বস্তিতে মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসা চালায়। এটারও প্রতিবাদ করেন রাকিব।

এসবের জের ধরে ঐ সিন্ডিকেটের একদল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাকিবের ওপর হামলে পড়ে। তারা টিএন্ডটি কলোনিতে রাকিবের বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনার পর এখনো হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট প্রদান করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার বাদী নিহত রাকিবের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, তার ছেলে বিএফ শাহীন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর তেজগাঁও কলেজ থেকে মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে। পরে সরকারি তিতুমীর কলেজে মার্কেটিং বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হয়। রাকিব আর দশটা ছাত্রলীগ নেতার মতো দ্বিগভ্রান্ত ছিল না। পড়াশুনায় মেধাবী রাকিব টিএন্ডটি কলোনিতে মাদকের বিরুদ্ধে অন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ২০১৮ সালটা ছিল সারাদেশে ইয়াবার বিরুদ্ধে র্যাব ও পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালায়। রাকিবও ঐ সময় কলোনিতে মাদকের বিরুদ্ধে একাধিক সমাবেশ করেছিল এবং একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিল। টিএন্ডটি বস্তিতে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রাকিব ছিল সোচ্চার। এ কারণে রাকিব বস্তিতে বৈধ বিদ্যুত্ লাইন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এটাই ওর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াল। ঐ সিন্ডিকেটের বোচা সজীব, জসিমসহ সাত-আট জন কলোনির বাড়ির সামনে রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, বনানী থানায় মামলা তদন্তের সময় প্রধান আসামি শফিকুল ওরফে বোচা সজীবকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। এর পাশাপাশি আতাউর রহমান বিল্লাল নামে সন্দেহভাজন একজন আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলাটি পরবর্তী সময়ে তদন্তের ভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। পিবিআই এজাহারনামীয় আসামি জসিমকে গ্রেফতার করে। মামলায় অজ্ঞাত সাত-আট জন পলাতক আসামি রয়েছে। গ্রেফতারকৃত বোচা সজীব ও জসিম কারাগারে রয়েছে। এরা এখনো হত্যা সংক্রান্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও অজ্ঞাত আসামিদের শনাক্ত করার পর এই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে। সূত্র-ইত্তেফাক

Bootstrap Image Preview