পাকিস্তানের মাটিতে খেলা। দলটির ভয়ংকর বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে সবাই-ই জানে। অথচ এমন এক সফরে বাংলাদেশ পাচ্ছে না দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমকে। ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তান সফরকে ‘না’ বলে দিয়েছেন তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আল হাসান নেই। এর মধ্যে মুশফিকের না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অভিজ্ঞতার বড় এক ঘাটতিই পড়বে টাইগার শিবিরে।
তবে ক্রিকেট তো থেমে থাকে না। মুশফিকের শূন্যতাটা যাতে উপলব্ধি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে অন্য কাউকে। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হওয়ায় দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তর ওপরই বর্তাতে পারে সেই দায়িত্বের বড় একটা অংশ।
শান্ত সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুতও আছেন। তবে মুশফিকের শূন্যতা পূরণের চিন্তা করছেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, বরং নিজের সামর্থ্যে আস্থা রেখেই খেলতে চান পাকিস্তানের মাটিতে।
তার ভাষায়, ‘নির্বাচকরা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন বলেই কিন্তু আমাকে দলে রেখেছেন। আর এটা নিয়ে চিন্তা করছি না যে, মুশফিক ভাইয়ের জায়গায় আমাদের বড় একটা রোল প্লে করতে হবে। এরকম কিছু না। আমরা পজিটিভ আছি যেটা নিজেদের শক্তির জায়গা, নিজেদের সে সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ী খেলতে পারলে ইনশাল্লাহ খুব একটা সমস্যা হবে না।’
২০১৭ সালে টেস্ট অভিষেক। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে খেলেছেন শেষ ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টিতে শেষবার খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যুব ক্রিকেটে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে জাতীয় দলে আসা শান্ত নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনও সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। দলেও তাই নিয়মিত নন। ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে আর ২ টি-টোয়েন্টিতে আটকে আছে তার ক্যারিয়ার।
এবার কি দলে থিতু হওয়ার টার্গেট? শান্ত বলেন, ‘আগের ওই জিনিসটা নিয়ে চিন্তা করছি না। যেটা চলে গেছে চলে গেছে। তবে ওখান থেকে যতটুকু শিখেছি, ওটাই চেষ্টা করব যে, এবার ওই ভুলগুলো যেন না হয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি, আশা করছি এবার সুযোগ পেলে ভালো করব।’