খাগড়াছড়িতে যৌতুকের দাবিতে কেরোসিন ঢেলে স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহ আলমকে (৫৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ আদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ঘাতক স্বামী মো. শাহ আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় দীঘিনালার রশিক নগর গ্রামের বসতবাড়িতে স্ত্রী কোহিনুর বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী মো. শাহ আলম। টানা ২৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১ অক্টোবর গৃহবধূ কোহিনুর বেগমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. আলম মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
আদালতের এ রায়ে নিহত গৃহবধূর স্বজনসহ রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।