তিনি নিজে থাকতেন এই দলে। হয়তো বা দলকে নেতৃত্বও দিতেন। কিন্তু ছোট্ট এক ভুলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করছেন তিনি। জুয়াড়িদের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর অপরাধেই এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।
তবে, এক বছর ক্রিকেট থেকে দুরে থাকলেও সাকিব আল হাসানের মনপ্রাণ কিন্তু ক্রিকেটেই রয়েছে। সতীর্থরা যাচ্ছেন পাকিস্তানে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনিতে খেলবেন তারা। সাকিব আল হাসানের মনটা পড়ে আছে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। তিনি কায়মনোবাক্যে চাচ্ছেন, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা সেখানে ভালো থাকুক, ভালো খেলুক এবং ভালোভাবে দেশে ফিরে আসুক।
একটি বহুজাতিক পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি নবায়ন অনুষ্ঠানে গিয়ে সাকিব আল হাসান কথা বলেছেন পাকিস্তানে বাংলাদেশ দলের সফর নিয়ে। শুভ কামনা জানিয়েছেন মাহমুদউল্লিাহ রিয়াদদের প্রতি।
সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমি আশা করি সেখানে সবাই তারা নিরাপদেই থাকবে এবং আশা করি ভালো খেলে তারা নিরাপদেই দেশে ফিরে আসবে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পাকিস্তানে সফল হবে। কারণ, সম্প্রতি পাকিস্তান নিজেদের মাটিতেই শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে। এ কারণেই আমি মনে করি, বাংলাদেশও সেখানে ভালো করবে।’
সাকিব আল হাসান ওই সময় জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিতই কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়া তার যোগাযোগ রয়েছে বোর্ডের অন্য পরিচালকদের সঙ্গেও।
মাঠে ফেরার জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করছেন সাকিব? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনার জন্য বলতে চাই, আমার মাঠে না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি আমি বলি যে, ফেরার জন্য আমি অনেক কিছু করে ফেলেছি এবং মাঠে ফিরে যদি কিছুই করতে না পারি, তখন কি বলবেন? তখন তো এই কথাটা কোনোভাবেই সঠিক মনে হবে না। সুতরাং, অপেক্ষায় থাকুন। যদি সব কিছু ভালোভাবে যায়, তাহলে আপনি উত্তরটা পেয়ে যাবেন।’
যখন সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি ক্রিকেটকে কতটা মিস করছেন, কিংবা ক্রিকেটের বাইরে থাকা সময়টা কিভাবে কাটাচ্ছেন? জবাবে কিছুই বলতে চাইলেন না সাকিব। তিনি বললেন, ‘আমি এই বিষয়টা শেয়ার করতে চাই না। যখন সঠিক সময় আসবে, তখন আমি শেয়ার করবো। কিন্তু তার আগে এই বিষয়টা শেয়ার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’