পদ্মা সেতুতে আজ রবিবার বসছে ২৩তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার)। আবহাওয়াসহ সব কিছু অনুকূলে থাকলে ‘৬-এ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩১ ও ৩২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে। গত শুক্রবার এ স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানোর কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আরো একটি পিলার বা খুঁটির কাজ শেষ করা হয়েছে। এ নিয়ে ৩৭টি পিলারের কাজ শেষ হলো। বাকি পাঁচটি পিলার এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করা হবে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। যার ২২টি ইতিমধ্যে বসে গেছে। আজ ২৩তম স্প্যান বসতে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সব কটি স্প্যান পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, গত শুক্রবার পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্প্যান বসানো সম্ভব ছিল না। রবিবার (আজ) আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাজিরা প্রান্তে উঠবে ২৩তম স্প্যানটি। প্রতি মাসেই তিনটি স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও জানুয়ারিতে স্প্যান উঠেছে দুটি। তবে ফেব্রুয়ারিতে এর সংখ্যা বাড়বে। পদ্মা সেতুর খুঁটির ওপর যে স্প্যানগুলো বসানো হয়েছে, সে স্প্যানের নিচের অংশে ইতিমধ্যে এক কিলোমিটারের মতো রেলস্ল্যাব বসে গেছে। আর স্প্যানের ওপর প্রায় ৪০০ মিটার রোডওয়ে স্ল্যাব বা রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৫.০৫ শতাংশ। সার্বিক অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ।
আব্দুল কাদের আরো জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কারণ পদ্মা সেতুতে প্রায় এক হাজার ১০০ চীনা নাগরিক কর্মরত। এঁদের মধ্যে চীনা নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ২০০ নাগরিক ছুটিতে গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে চীনে আটকা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত নই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’