Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ বৃহস্পতিবার, জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহিষের আক্রমণে বাংলাদেশি নিহত, দুই বিএসএফ সদস্য আহত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:৪৮ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ভারতীয় বন্য মহিষের আক্রমণে সাফিয়া খাতুন নামের এক বাংলাদেশি নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ'এর দুই সদস্যসহ আহত হয়েছে আরও আটজন। গ্রামবাসী মহিষটিকে আটক করে জবাই করে হত্যা করে

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফিয়া গৌড়াঙ্গলা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মকবুল হোসেনের স্ত্রী।এ ঘটনায় আহত আট বাংলাদেশির মধ্যে সন্তোষ দাস নামের একজনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানানরবিবার সকালে গৌরাঙ্গলা গ্রামের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার গভীর জঙ্গল থেকে একটি মহিষ ভারতীয় বিএসএফ'এর দুই সদস্যকে আহত করে বাংলাদেশের লোকালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় মহিষটি সামনে যাকে পায় তাকেই আঘাত করে আহত করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভুঁইয়া বাড়ির সাফিয়া খাতুনকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পরে গ্রামবাসী সীমান্ত এলাকা থেকে মহিষটিকে আহত অবস্থায় আটক করে জবাই করে হত্যা করে। এসময় বিজিবি ও বিএসএফ'এর সমঝোতায় মহিষটিকে বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।   

নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা জানান, হঠাৎ একটি বন্য মহিষ বাড়িতে ঢুকে তার মা সাফিয়া খাতুনকে শিং দিয়ে আঘাত করে। পরে মাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন তিনি। 

স্থানীয় বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল মামুন ভূঁইয়া জানান, "আমার ইউনিয়নটির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অপর পাশে ত্রিপুরা সিপাহিজলা জেলায় গভীর জঙ্গল রয়েছে। জঙ্গল থেকে বন্য মহিষটি বাংলাদেশে এসে অন্তত আটজনকে আহত করে।"  

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, "খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।" 

বিএসএফ'এর বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান"আমরা জানতে পেরেছি দুই বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া সীমান্তের এপাশে আরও কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে আলোচনা করে জবাইকৃত মহিষটি নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।" 

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ-উল আলম জানানমহিষটিকে হত্যা করার আগে অজ্ঞান করার জন্য অস্ত্র খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোথাও অজ্ঞান করার অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাই মহিষটিকে গ্রামবাসী আহত করে জবাই করে হত্যা করে। 

Bootstrap Image Preview