স্ত্রীকে হত্যার পর কাটা মাথা হাতে নিয়ে থানায় যাওয়ার সময় ভারতের উত্তর প্রদেশের কাদিরপুর গ্রাম থেকে আখিলেশ রাওয়াত নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের বরাত দিয়ে এই খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় যৌতুক আইনে মামলা করেছে আখিলেশের ভুক্তভোগী স্ত্রী রজনীর বাবা।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আখিলেশ রাওয়াত দুই বছর আগে রজনীকে বিয়ে করেন। গত বছর রজনী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পরই সন্তানটি মারা যান। আর এর জন্য রজনীকে দুষতে থাকেন আখিলেশের পরিবার। এরপর থেকেই বাবার বাড়িতে চলে যান রজনী।
এই বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরভিন্দ চতুর্ভেদি জানান, মেয়ে মারা যাওয়ার পর রজনী বাবার বাড়িতেই ছিলেন। চারদিন আগে আখিলেশ তাকে বাড়িতে আনেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে রজনী এবং আখিলেশের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরে আখিলেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রজনীর মাথা কেটে ফেলেন। পরে জাহগিরাবাদ থানার উদ্দেশ্যে সেই কাটা মাথা নিয়ে এক কিলোমিটার হাটেন আখিলেশ। এই বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা চতুর্ভেদি, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা কেন এবং কিভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো সেটি খতিয়ে দেখছি।