ভোলায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিক্যাম চাষে চরাঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য বদল হতে শুরু হয়েছে। মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলোতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ সবজি আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ক্যাপসিক্যাম আবাদ হয়েছে দ্বিগুণ। তাই বিদেশি এ সবজি চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন অনেক চাষি। তবে ক্যাপসিক্যাম চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে চরাঞ্চলগুলোতে এ সবজির বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ভোলা জেলায় ক্যাপসিক্যাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, অর্থাৎ ৩০ হেক্টর। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও দৌলতখান উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিক্যামের আবাদ হয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ভোলা সদরের মাঝের চরে প্রায় ৬-৭ বছর আগে কাচিয়া ইউনিয়নের মনির পাঠান নামে এক কৃষক প্রথমে ১০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিক্যাম চাষ করেন। আর পরীক্ষামূলক চাষেই সফলতা পেয়েছেন তিনি। এর পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে ক্যাপসিক্যাম চাষ শুরু করেন এবং সফল হন। এরপর থেকে তার দেখা-দেখি অন্যান্য চাষিরাও ক্যাপসিক্যাম চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ক্যাপসিক্যাম চাষে তেমন কোন পোকা-মাকরের আক্রমণ না থাকা ও অধিক লাভজনক হওয়ায় স্বাভলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। আর দিনদিনই বাড়ছে চাষিদের সংখ্যা। ভোলার মাঝের চরে বর্তমানে দেড় থেকে দুইশ’ চাষি ক্যাপসিক্যাম চাষ করছেন। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর পাইকারি বাজারেও এর ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
ভোলা সদরের কাচিয়া মাঝের চরের ক্যাপসিক্যাম চাষি হান্নান জানান, এবছর তিনি প্রায় দুই একর জমিতে ক্যাপসিক্যাম চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিক্যাম বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে আরো যে ফসল আছে তাতে আরো ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।