চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের বহু স্কুলেই হয়নি সরস্বতী পুজা। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এবার সরব হলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাংলা পাকিস্তান হয়ে গিয়েছে বলেই তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ। বাংলার প্রতিনিধিত্ব করা সত্ত্বেও লোকসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রত্যেক স্কুল-কলেজেই সাধারণত সরস্বতী পুজা হয়। ধর্মীয় ব্যবধান ভুলে হিন্দুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজনে অংশ নেন মুসলমানরাও। তবে চলতি বছর বাংলায় সরস্বতী পুজা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। হাওড়া ময়দানের একটি বেসরকারি স্কুল এবং হাড়োয়ার চৌহাটা আদর্শ বিদ্যাপীঠে বাগদেবীর আরাধনায় বাধা পায় ছাত্রছাত্রীরা। পথ অবরোধ, স্কুলের সামনে বিক্ষোভের পরেও স্কুলের সরস্বতী পুজা করার সুযোগ পায়নি তারা। তবে কেন সরস্বতী পুজা করার সুযোগ পেল না শিক্ষার্থীরা, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে মেলেনি সদুত্তর।
সরস্বতী পুজা বন্ধের ঘটনাতেই এবার লাগল রাজনীতির রং। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন সংসদে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘পাকিস্তানেও হিন্দুরা পুজা করার সুযোগ পান না। বাংলাও পাকিস্তানের সমান হয়ে গিয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজা করতে বাধা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী তোষণের রাজনীতি করছেন। মুসলমানদের তুষ্ট করতেই রাজ্যে সরস্বতী পুজাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেই কানাঘুষো আলোচনা করছেন অনেকেই। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পালটা তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।