Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ বৃহস্পতিবার, জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

টিকেট কেটেও যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন না ডেইজী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১০:২৩ AM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১০:২৩ AM

bdmorning Image Preview


ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে কষ্টে আমেরিকা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকা উত্তরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আলোচিত কাউন্সিলর প্রার্থী আলেয়া সারোয়ার ডেইজী তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে এসেছেন। পরাজয়ের পর ডেইজী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজনীতি আর নয়। এখন থেকে পরিবারকে সময় দেবেন। আগামী এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে ছেলে-মেয়ের কাছে চলে যেতে পারেন। এ জন্য টিকিটও কেটেছিলেন।

তবে বুধবার এক গনমাধ্যমকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে ডেইজী সরোয়ার জানিয়েছেন, আমেরিকা যাওয়ার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। জনগণের স্বার্থে বিশেষকরে নিজ ওয়ার্ডের নারীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে দেশেই থেকে যাবেন বলে জানান তিনি।

আমেরিকার চলে যাওয়া সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ জানাতে ডেইজী সরোয়ার বলেন, আমি দেখেছি, সংরক্ষিত আসন থেকে অনেক আইনগত জটিলতার কারণে জনগণের জন্য সেভাবে কাজ করা যায় না। তাই এবার জনগণের সেবা করতে সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চেয়েছিলাম। তিনি আমার আশা পূরণ করে ৩১ নং ওয়ার্ডের নমিনেশন দেন। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জয় উপহার দিতে পারিনি। তাই দুঃখে, কষ্টে অনেকটা আবেগী হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম এই দেশেই থাকব না। যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে-মেয়েদের কাছে চলে যাব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মী ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষিদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশে থেকেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করব। শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কাজগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হব।

ডেইজী বলেন, রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অনেক বছর ধরে আছি। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন দলের জন্য রাজপথে থেকেছি। সে সময় নেত্রীর মুক্তিতে আন্দোলন করেছি। কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছি, কারাভোগও করেছি। এসবের প্রতিদানও নেত্রী আমাকে দিয়েছেন। মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর নেত্রী আমাকে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। সেই প্যানেল মেয়র হওয়ার পর আমি অনেক কাজ করেছি। নারীদের জন্য প্রথম হলিডে মার্কেট তৈরি করেছি। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছি।

তাই এভাবে হঠাৎই রাজনীতি ছাড়তে চান না এই কাউন্সিলর প্রার্থী। এর আগে তিনি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।

 এই ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু। আর ডেইজী পেয়েছেন ২ হাজার ৯১ ভোট।

পরাজয়ের পর ডেইজী বলেছিলেন, পরাজিত হয়ে আমি দুঃখ পাইনি। আমার দুঃখ– আমি আওয়ামী লীগকে এই আসনটি দিতে পারিনি। আমি জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছি, আগামীতেও করতে চেয়েছিলাম। আমার সেই ইচ্ছা ছিল, শক্তি ছিল। ভোটের দিনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষ থেকে আমার ওপরে যে আচরণ করা হয়েছে, সেটি মোটেও শোভনীয় ছিল না। জয়ের জন্য আমার চেষ্টা ছিল। কিন্তু এই নোংরা মানুষগুলোর কাছে আমি হেরে গেছি।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের মার্চে ঢাকার দুই সিটিতে মশা মারতে ‘কামান ব্যবহার’ করে আলোচিত-সমালোচিত হন ডেইজী। ওই সময় তার মশা নিধনের একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অনেকেই তার এমন অ্যাকশনের সমালোচনা করেন।

Bootstrap Image Preview