সাদা পোশাকে কিভাবে লাল বলের বিপক্ষে ব্যাট করতে হয় সেটা যেন ভুলেই যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অপ্রয়োজনীয় শট খেলার প্রবণতা থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলাফল সেই একই, ব্যর্থতা। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় ১৭ বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ধৈর্য্যরে পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহরা। উইকেটে টিকে যাওয়ার পরও অপ্রয়োজনীয় শটেই হুড়মুড় করে আউট হয়েছে ব্যাটসম্যানরা। টেস্টের প্রথমদিনে মাত্র ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
তারপরও তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করছেন, বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে! কাল নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এখনও সেফ জোনে আছে। কারণ আমরা যদি ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারি তাহলে ভালো কিছুই হবে। পাকিস্তান সারাদিন দারুণ বোলিং করেছে, আমরা যদি একই কাজ করি এবং শুরুতে উইকেট নিতে পারি তাহলে ইতিবাচক কিছু হবে।’
মিডল অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। তবে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন একমাত্র মোহাম্মদ মিঠুন। আবার তিনটি ফিফটি রানের জুটি হলেও একটিও একশ’ ছুঁতে পারেনি জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির (৬৩) পথে সঙ্গী হিসেবে মিঠুন পেয়েছিলেন তাইজুল ইসলামকে। সপ্তম উইকেটে তাদের ৫৩ রানের জুটিতেই দুইশ’ করে বাংলাদেশ। এখন বোলিংটা ভালো করার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভালো করার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
ম্যাচ চতুর্থ বা পঞ্চমদিনে নিতে হলে সামনে তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে বলেই মনে করছেন নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভালো ও শুরুতে উইকেট নিলেই ভালো কিছু হবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। টেস্ট চতুর্থদিনে কিংবা পঞ্চমদিনে যাবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এজন্য ভালো ব্যাটিং বোলিং করতে হবে আমাদের।’
প্রথমদিনে বাংলাদেশ ৮২ ওভারে অলআউট হয়েছে। তবে আলোক স্বল্পতা থাকার কারণে পাকিস্তান কাল আর ব্যাট করতে পারেনি। আম্পায়াররা দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন।