রাওয়ালপিন্ডির উইকেট পেস সহায়ক হতে পারে, টেস্ট শুরুর আগেই শোনা যাচ্ছিল এমনটা। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে প্রথম দিনের সকালেই ৩ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল ১০০-১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪), মোহাম্মদ মিঠুন (৬৩) আর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলামের (২৪) দৃঢ়তায় ২৩৩ রানের সম্মানজনক একটা পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ কি তবে খারাপ করেনি? পেস সহায়ক উইকেটে কি আরও খারাপ অবস্থা হতে পারতো? এমনটা ভেবে যারা স্বস্তি পাচ্ছেন, তাদের আফসোসই যেন বাড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা এই টপঅর্ডার জানালেন, শুরুর দিকে কিছুটা ম্যুভমেন্ট থাকলেও পরের দিকে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য তেমন কঠিন ছিল না। এই উইকেটে দলের ব্যাটসম্যানরা কেন বড় জুটি গড়তে পারলেন না, সেটিই বরং প্রশ্ন শান্তর।
শান্ত বলেন, ‘শুরুর কয়েক ওভারে কিছুটা ম্যুভমেন্ট ছিল। কিন্তু পরে এটা ভালো ব্যাটিং উইকেটে পরিণত হয়। আমাদের আরও ধৈর্য দেখানো দরকার ছিল। শুরুতে উইকেট পড়ায় আমরা চাপে ছিলাম। কিন্তু মুমিনুল যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য সেটা ভালো পথ করে দিয়েছিল।’
৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটিতে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন মুমিনুল হক আর শান্ত। কিন্তু ৩০ রান করে বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরার পরই আবারও খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারিরা।
শান্ত মনে করেন, বড় জুটি গড়তে না পারাই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তার ভাষায়, ‘আমাদের ১০০ কিংবা তার চেয়ে বড় রানের জুটি দরকার ছিল। যদি আমরা ভালো জুটি গড়তে পারতাম, তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। আমি খুব হতাশ যে আমরা সেটা পারিনি।’
তাই বলে হাল ছাড়তে রাজি নয় বাংলাদেশ। শান্ত জানালেন, যা হয়েছে সেই রান নিয়েই লড়াই করতে চান দ্বিতীয় দিনে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘যাই হোক, আমরা বোর্ডে কিছু রান জমা করতে পেরেছি। রানের ঘাটতি আছে। তবে আমরা যদি দ্রুত কয়েকটি উইকেট ফেলে দিতে পারি, তবে সুযোগ থাকবে।’