আলসিমের কারণে ব্যাট করতে নেমে রানআউট হয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহি। প্রথম দিনে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে লোয়ার অর্ডারের রাহির বোকামি নিয়েও আলোচনা কম হয়নি।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে অপেশাদার আচরণ দেখালেও আসল দায়িত্ব বোলিংয়ে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিচ্ছেন আবু জায়েদ রাহি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের যা একটু বিপদে ফেলতে পেরেছেন এই পেসারই।
তার বলের লাইন-লেহ্ন ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রিত। হাত খুলে খেলতে দেননি, বার কয়েক পরাস্তও করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম সেশনে। পাকিস্তানের যে দুটি উইকেট পড়েছে, দুটোই শিকার এই পেসারের। ১০ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ২২ রান।
দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ২ উইকেটে ৯৫ রান তুলেছে পাকিস্তান। ওপেনার শান মাসুদ ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। বাবর আজম এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর আগে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারে এবাদত হোসেনের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক মুুমিনুল হক। ডানহাতি পেসারের ওই ওভারে মাত্র এক রান নিতে পারে স্বাগতিকরা। ওই এক রানও আসে লেগ বাই থেকে।
দ্বিতীয় ওভারে এসেই সাফল্য পান আবু জায়েদ রাহি। ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে তিনি ফিরিয়ে দেন দুই টেস্টের ক্যারিয়ারে দুই সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলিকে।
রাহির বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিটি শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আবিদ। চোখের পলকে সেই বল গ্লাভসবন্দী করে নেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। পাকিস্তানের বোর্ডে তখন মাত্র ২ রান।
তবে এমন শুরুর পরও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেননি টাইগার বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে ৯১ রানের বড় জুটি গড়েন আজহার আলি আর হারিস সোহেল। শেষতক এই জুটিটাও ভাঙেন রাহিই।
ইনিংসের ২৩তম ওভারে টাইগার পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ হন পাকিস্তানি অধিনায়ক আজহার। ৫৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩৪ রান।