Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিভাবে উঠে এলো আকবর-মাহমুদুলরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০২:২২ PM
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০২:২২ PM

bdmorning Image Preview


চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো তারা জায়গা করে নিয়েছে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে। এই পর্যন্ত আসা সহজ ছিলনা আকবর আলী-মাহমুদুল হাসানদের। বিসিবির ধারাবাহিক পরিকল্পনার ফলেই এখন তাঁরা বিশ্ব মঞ্চে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের তুলে আনতে চার বছর আগে বিশাল এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৬৪টি জেলাকে নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মোট তিনটি স্তরে অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্ট।

যেখানে অংশ নেন অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সী ক্রিকেটাররা। অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের সংখ্যা ছিল ১৩৫ জন। প্রতিটি গ্রুপের জন্য নেয়া হয়েছিল ৪৫জন করে ক্রিকেটার। তাদের নিয়ে একটি তিন দলের সিরিজ আয়োজন করে বিসিবি। সেখান থেকে ১৫ জন খেলোয়াড়কে বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তুলে আনা হয়। সেখানে থাকা অনেক ক্রিকেটারই এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলছেন।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, এ কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ক্রিকেটার তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়া দুজন ক্রিকেটার শুধুমাত্র ঢাকা থেকে খেলছেন। তারা এমন ভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে কোনো ক্রিকেটার হারিয়ে না যায়।

এ প্রসঙ্গে সুজন বলেছেন, 'এখন আপনি দেখবেন সিনিয়র টিমের বেশিরভাগ ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মাত্র দুজন খেলোয়াড় ঢাকার। আমরা এমন ভাবে ক্রিকেটটা পরিকল্পনা করেছি অনূর্ধ্ব-১৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৬ স্তরের, যেন কোনো ক্রিকেটার হারিয়ে না যায়। প্রত্যেকেই নজরে থাকে।'

সুজন মনে করেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবিভাবকরাও ছেলেদের ক্রিকেটার বানাতে আগ্রহী। কারণ তারা জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন সম্ভব। তাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ক্রিকেটার তুলে আনা সহজ হয়েছে বলে ধারণা বিসিবির এই কর্মকর্তার।

সুজন বলেছেন, 'অবিভাবকদের রাজি করাতে হয়নি। তারা চান তাদের ছেলেরা ক্রিকেট খেলুক। এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবিভাবকরাও। তারা মনে করেন তাদের ছেলে ভালো ক্রিকেট খেলেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াই। সাকিব-তামিমদের দেখে তারা বিশ্বাস করেন এখানে ভবিষ্যৎ আছে। এটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।'

Bootstrap Image Preview