প্রথম সেশনে তবু আশা দেখিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহী। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সমীহ আদায় করেছেন কেবল তিনিই। বাকিরা তেমন কিছু করতে পারেননি।
টাইগারদের নখদন্তহীন বোলিংকে কাজে লাগিয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন শান মাসুদ আর বাবর আজম। শান মাসুদ তো সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়ই পৌঁছে গেছেন। ১২৯ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম ৮০ বল খেলে অপরাজিত ৫২ রানে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ৫৮ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
এর আগে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারে এবাদত হোসেনের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক মুুমিনুল হক। ডানহাতি পেসারের ওই ওভারে মাত্র এক রান নিতে পারে স্বাগতিকরা। ওই এক রানও আসে লেগ বাই থেকে।
দ্বিতীয় ওভারে এসেই সাফল্য পান আবু জায়েদ রাহী। ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে তিনি ফিরিয়ে দেন দুই টেস্টের ক্যারিয়ারে দুই সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলিকে।
রাহীর বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিটি শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আবিদ। চোখের পলকে সেই বল গ্লাভসবন্দী করে নেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। পাকিস্তানের বোর্ডে তখন মাত্র ২ রান।
তবে এমন শুরুর পরও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেননি টাইগার বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে ৯১ রানের বড় জুটি গড়েন আজহার আলি আর হারিস সোহেল। শেষতক এই জুটিটাও ভাঙেন রাহিই।
ইনিংসের ২৩তম ওভারে টাইগার পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ হন পাকিস্তানি অধিনায়ক আজহার। ৫৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩৪ রান। ২ উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান।