বারবার পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের একপর্যায়ে মাত্র ১০২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রথমে পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৪১ ও পরে স্পিনার রাকিবুল হাসানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর।
তবে উইনিং শটটা এসেছে রাকিবুলের ব্যাট থেকেই। অথর্ব আঙ্কোলেকারের বলে মিড উইকেটে পাঠিয়ে দিয়ে জয়সূচক রানটি নেন এ বাঁহাতি স্পিনার। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো বাংলাদেশ দল। ডাগআউট থেকে পতাকা নিয়ে দৌড় শুরু করেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলামরা।
রাকিবুলের সেই সিঙ্গেল থেকে শুরু হওয়া উদযাপন চলেছে প্রায় মিনিট বিশেক ধরে। এ উদযাপন নিশ্চিতভাবেই চলতো আরও অনেক বেশি সময় ধরে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক পুরস্কার বিতরণীর সময় চলে আসায় থামতে হয় জুনিয়র টাইগারদের। তবে শিরোপাটি হাতে পাওয়ার পর নতুন উদ্যমে শুরু হয় উল্লাস।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এ উদযাপনের সবদিক এক করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে তারা লিখেছে, ‘এই বাংলাদেশ দল সত্যিই জানে কীভাবে উদযাপন করতে হয়। একবার দেখুন, এ ঐতিহাসিক জয়ের পর মাঠে তাদের উদযাপনের চিত্রটা।’
আইসিসির প্রকাশিত এই ভিডিওতে দেখা যায়, একদিকে কোচ নাভিদ নেওয়াজে কাঁধে মাথা রেখে আনন্দ অশ্রুতে ভাসছেন রাকিবুল হাসান, অন্যদিকে গ্যালারিতে দর্শকদের মাতিয়ে রাখছেন দলের কন্ডিশনিং কোচ রিচার্ড স্টয়নার। আনন্দ-উত্তেজনায় মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছিল না অধিনায়ক আকবর আলির; রাকিবুল হাসান-তানজিম সাকিবদের উদযাপনে বাঁধ মানছিল না কিছুইতেই।