এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে অন্যের খাতা দেখতে চেয়ে সাড়া না পাওয়ায় এক পরীক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক প্রতিরোধে জোটবদ্ধ হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। মঙ্গলবার দুপুরে চাপারকোনা মহেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এ সংঘর্ষে অন্তত ২০জন পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। চাপারকোনা মহেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০৫ নং কক্ষে এ পরীক্ষা চলাকালে নকল করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর। কুঠির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী সোহাগ হাসানের উত্তরপত্র দেখে লিখতে চায় কয়েকজন। হরখালী মুজিবুর রহমান আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী নাঈম হাসান, আজাদ, বাবু মিয়া ও ইয়াসিন আলম বিষয়টি নিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে সোহাগ হাসান ক্ষুদ্ধ হয়। খাতা দেখতে দিবে না বলে সোহাগ সাফ জানিয়ে দেয়। তখন নাঈমসহ অন্যরা তাকে হুমকি দেয়।
পরীক্ষার্থী সোহাগ হাসান যখন কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিল সে সময় প্রধান ফটকে দলবল নিয়ে পথরোধ করে নাঈম হাসান। তারা সোহাগকে মারধর করতে থাকলে অন্য পরীক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে এবং তাদের বাধা দেয়। এরপর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে আহত হয় -সোহাগ হাসান, নাহিদ হাসান, হ্নদয় হাসান, শরিফুল ইসলাম, সুখি খাতুন, সোহেল রানা, মিনহাজ, রাজু মিয়া, রূপা আক্তার, সূবর্ণা আক্তার, ঝিনুক আক্তার, নাভীব হোসেন, শারমিনা আক্তার, জাকারিয়া ইসলাম, সোহেল নামের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ চলাকালে সোহাগ হাসান ও জাকারিয়া ইসলামের কাছ থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, 'হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থাসহ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।'