Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বেড়েই চলেছে বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, আরও দুইজনের শরীরে ভাইরাস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:৫৪ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৮:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সিঙ্গাপুরে আরও দুই বাংলাদেশি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দ্য স্ট্রেইট টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট চার প্রবাসী বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটস নামের একটি এলাকায় কাজ করতেন। তারও আগে গত শনিবার একই স্থানে আরেক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮ জনে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাসধারী ৩৭ ও ৩০ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশিকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।

৩৭ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশির সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাস রয়েছে। সম্প্রতি চীন সফরের কোনও ইতিহাস নেই তার। বর্তমানে তাকে সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন কক্ষে রাখা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত এই বাংলাদেশিও সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটসের নির্মাণাধীন স্থাপনায় কাজ করতেন। 

গত ৭ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ট্যান টক সেং হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশিরও সম্প্রতি চীন সফরের রেকর্ড নেই। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তিনিও সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন কক্ষে রয়েছেন। সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটসের নির্মাণাধীন স্থাপনায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

নতুন করে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগে যে দুই বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারাও অ্যারোস্পেস হাইটসের এই স্থাপনায় কর্মরত ছিলেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৬৩ জন।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, চীনে এখন পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৮০৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু বুধবারই দেশটিতে ১৫ হাজার ১৫২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। চীনা ভূখণ্ডেই গত ডিসেম্বর থেকে বুধবার পর্যন্ত করোনায় প্রাণ গেছে এক হাজার ৩৬৭ জনের। তবে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে বুধবার। ওইদিন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ২৫৪ জন মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভাইরাসের নামকরণ করেছেন কোভিড-১৯ নামে। আরও লাখ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview