Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বুধবার, জুন ২০২৫ | ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

করোনায় 'মৃত' সদর হাসপাতালের দুই ডাক্তার বিবৃতি দিয়ে বললেন 'আমরা জীবিত'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৫:১৬ AM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৫:১৬ AM

bdmorning Image Preview


তারা সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। দায়িত্ব পালন করছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধে তারা মৃত হিসাবে ভাইরাল হয়েছেন। এমন অদ্ভুত পরিস্থিতি মুকাবেলা করতে তারা এখন বিবৃতি  দিয়ে বললও আমরা জীবিত আছি। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন চিকিৎসক ওয়ালিউর রহমান। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গুজর রটানো হয়েছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই অবস্থা হাসপাতালের অপর চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানেরও।

নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে একজন স্থানীয় সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবিসহ বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। অপরজনের পক্ষে তাঁর এক নিকটাত্মীয় ফেসবুকে বিবৃতি দিয়েছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে গেছে, করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের মতো দেশবাসীও উদ্বিগ্ন। এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অফিস-আদালত, দোকানপাট, গণপরিবহন সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের মতো জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। বরং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে এমন নিরেট গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

দুই চিকিৎসকের মধ্যে ওয়ালিউর রহমান হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। ডাকনামের সূত্র ধরে তিনি এলাকায় ‘নয়ন ডাক্তার’ নামে বেশি পরিচিত। আর অপর চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। তাঁকেও ডাকনামের সূত্র ধরে এলাকার লোকজন ‘মিলন ডাক্তার’ নামে বেশি চেনেন।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেসবুকে চিকিৎসক ওয়ালিউর রহমানকে নিয়ে গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, চিকিৎসক ওয়ালিউর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক শিরিন জেবীন এবং দুই সন্তানও অসুস্থ। এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ওয়ালিউর রহমান বুধবার স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে ও ফেসবুকে ছবিসহ বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়েছে, নিজে বেঁচে আছেন এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান সবাই সুস্থ।

বিবৃতিতে চিকিৎসক ওয়ালিউর রহমান বলেন,‘ আমি ও আমার পরিবারের সবাই সুস্থ আছি। আপাতত প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখছি না। তবে সদর হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখা হচ্ছে। কেউ কোনো রকম গুজবে কান দেবেন না।’

এদিকে তিন দিন ধরে চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নিয়েও ফেসবুকে চলছে গুঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। এ অবস্থায় মাহবুবুর রহমানের ভাগনে সৈয়দ রনি বুধবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমার মামা চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান মিলন আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। মামা ও মামির পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন। গুঞ্জনে কান দেবেন না।’

Bootstrap Image Preview