লোক ভাড়া করে ত্রাণ না পাওয়ার বিক্ষোভ করাচ্ছে বিএনপি এমন অভিযোগ উঠেছে। করোনা সংকটে সারাদেশে কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রথম থেকেই ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর থেকে সুষ্ঠুভাবেই চলছিল এই কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি দেশের কিছু কিছু জায়গায় এক শ্রেণির মানুষকে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
যেসব এলাকায় এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে, সেসব এলাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকারি ত্রাণ সবার ঘরে সুষ্ঠুভাবেই পৌঁছে যাচ্ছে। তারপরও কেন কতিপয় লোক বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
বিষয়টি জানতে একটি সূত্রে তদন্ত চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দরিদ্র ও ভিক্ষুক শ্রেণির লোককে অর্থ দিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে বিএনপি। আর এই সংকটময় সময়ে অনেকেই টাকার লোভে পড়ে বিএনপির ফাঁদে পা দিচ্ছেন।
সম্প্রতি গাজীপুরে এমন একটি বিক্ষোভের ঘটনায় জানা যায়, সেখানে ২১ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা চুন্নু মিয়া স্থানীয় কিছু ভিক্ষুক ও কর্মহীন লোককে ভাড়া করে বিক্ষোভের জন্য জড়ো করেন। লোক দেখানো এই বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে বলা হয়েছে, সকালে এক ঘণ্টা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করার জন্য। তিনি টাকা পেয়ে তাতে অংশ নিয়েছেন।
ফেলোশিপের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলের নির্দিষ্ট এলাকার জনগোষ্ঠির ওপর ক্রমাগত দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অভিযোজন বিষয়ে তিনি ইনডেপথ প্রতিবেদন তৈরি করবেন। বর্তমানে হাবিব জলবায়ু, পরিবেশ ও কৃষি বিষয়ে ৭১ টেলিভিশনে কাজ করছেন। এর আগে সেফ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশ থেকেও দুর্যোগ বিষয়ক প্রতিবেদন করার কারণে তিনি ফেলোশিপ পেয়েছিলেন।
তার মাধ্যমে পাড়ার ভিক্ষুকদের ভাড়া করার কথাও জানান হাশেম। তবে তাদের দেয়া হয়েছে ৩০০ টাকা করে। এছাড়া একই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের হিলিতেও। সেখানেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এমন আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় যোগাযোগ করে একই তথ্য পাওয়া গেছে।
একদিকে একটি গোপন সূত্রে জানা যায়, মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং সরকার ত্রাণ দিচ্ছে না- তা প্রমাণ করতেই এই কৌশল নিয়েছে বিএনপি। এ ব্যাপারে দলটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকেও নির্দেশনা রয়েছে। শুধুমাত্র এই কাজের জন্য জেলাপ্রতি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন তথ্য ইতিমধ্যে তাদের হাতে রয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।