Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গালিগালাজের বিষয়টি মিথ্যা, ডিসির নামেও মামলা হবে : নিক্সন চৌধুরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ০৪:১৮ PM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ০৪:২১ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছেন ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার। 

ডিসি-ইউএনওসহ নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অত্যন্ত মানহানিকর ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন নিক্সন ও তার অনুসারীরা। একে নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি উল্লেখ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সোমবার চিঠি দেন ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমার দ্বারা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। কর্মীদের আটক নিয়ে নালিশ করেছি, গালিগালাজ করিনি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন চলাকালীন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ডিসি সাহেব আমার বাড়িতে ইউএনও সাহেবকে পাঠিয়েছেন, এটা তিনি করতে পারেন না। আমি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করি তাহলে ডিসি সাহেবও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আমার নামে মামলা হলে ডিসির নামেও মামলা হবে।

নির্বাচনী এলাকার ইউএনওদের সঙ্গে ‘ভাই-বোনের’ মতো সম্পর্ক দাবি করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, গত ১০ তারিখে যে উপনির্বাচন হল, সেই উপনির্বাচনে যে প্রার্থী ছিলেন, তার পক্ষে আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন। সেই উপনির্বাচনে 

সকালে ১১টার দিকে আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু আমি তাকে একথা বলার জন্য ফোন করেছিলাম যে, আমার একজন কর্মী মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো, এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজিবি সদস্যদের দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়টা অবগত করার জন্য তাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু বাকী অংশটুকু সুপার এডিট করা হয়েছে।

আলোচিত এই আইন প্রণেতা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা দেখতে পারবেন। ইউএনওর সঙ্গে আমার কথোকথনটা দেয়া হয়েছে। ইউএনও একজন বিসিএস ক্যাডার। যদি ইউএনও সঙ্গে আমার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে বা রেকর্ড হয়। তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে, এ বিষয়ে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, কারো বক্তব্য রেকর্ড করা যাবে না এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া যাবে না। আমার মনে হয়, আমার ইউএনও এত বোকা না যে, আইনের লোক হয়ে তিনি আইন ভঙ্গ করবেন। আর এখন পর্যন্ত তার কোন বক্তব্য আসেনি। আপনারা তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, এরকম কোন কথা আমার সঙ্গে হয়েছে কি না।’

নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না- এমন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি তাকে আমার একজন কর্মীর বিষয়ে কথা বলেছি, এতে কোন ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গ হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন জানতে পারেন ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন এই ম্যাজিস্ট্রেটরা মারমুখী আচরণ করেন বলেও অভিযোগ তার।

Bootstrap Image Preview