বিডিমর্নিং ডেস্কঃ বিয়ের পরও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এক পর্যায়ে গৃহবধূর বাড়িতে হাজির হন প্রেমিক। তাদেরকে আটক করে পুলিশে দিলে পুলিশ সেই গৃহবধূকে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূর মা।
গৃহবধূর মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় আমি মেয়েকে সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামে বিয়ে দিই। কিন্তু বিয়ের পরও রিমন আমার মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে মেয়ের বাড়িতে ঢোকে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পিরব ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে রিমন ও তার মেয়েকে ধরে পুলিশকে খবর দেন। পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার রায় দুজনকে আটক করে নিয়ে যান। আমার মেয়ে রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। তারপর দুজনকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে (পতিতাবৃত্তি) চালান দেওয়া হয়। পরে আদালত দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, এসআই রতন কুমার রায় আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে সম্মান নষ্ট করেছেন। বর্তমানে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এতে আমার মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপায় না পেয়ে মেয়ে আদালতে মামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তবে ওসি বদিউজ্জামান জানান, ওই গৃহবধূকে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় জনগণ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়। তাকে ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। তিনি বা তার মা মামলার জন্য থানায় আসেননি।