Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামী বিদেশ থাকায় দেবর দিলো কু-প্রস্তাব, ভাসুর করলো ধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:০৬ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:০৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ গৃহবধূর স্বামী বিদেশ থাকায় প্রায় সময়ই দেবর তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় নির্যাতনের শিকার হন তিনি। অন্যদিকে রাতের আঁধারে সুযোগ পেয়ে সেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো ভাসুর। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।

ভাসুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার বিউটি আক্তার জুঁই নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর পূর্বপাড়া গ্রমের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে। ২০১১ সালে কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া বারিয়াগাতী গ্রামের রহিছ উদ্দিনের মেজু ছেলে মো. হারেছ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয়। ২০১৮ সালে হারেছ মিয়া স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে মালদ্বীপে যান। স্বামী মালদ্বীপে যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গৃহবধূর ওপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে আসছিল। প্রবাসী স্বামীকে বারবার বলার পরেও কোন সমাধান পাননি গৃহবধূ।

এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতা জানান, আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে আমার স্বামীর পাঠানো সমস্ত টাকা পরিবারের সবাই মিলে আত্নসাৎ করে আসাছিল। আমি ও আমার সন্তানদের ভরণ পোষণের কোন টাকা না দেওয়ায় আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রায় সময়ই গালমন্দ ও মারপিট করত। তা আমি মুখবুজে সহ্য করে আসছিলাম। স্বামী বিদেশ থাকার কারণে আমার ভাসুর আঙ্গুর মিয়া ও দেবর তামীম ইকবাল রাসেল প্রায় সময়েই আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ও টাকা পয়সা আত্নসাৎ করার পায়তারায় বাড়ি থেকে আমাকে তাড়ানোর জন্য আমার ভাসুরসহ পরিবারের সবাই প্রবাসী স্বামীকে আমার চরিত্রের ব্যাপারে বলে বিষিয়ে তুলে।

গেলো ২১ নভেম্বর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে আমার ভাসুর আঙ্গুর মিয়া আমার ঘরে ঢুকে মুখে কাপড় চেপে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যদেরকে জানালে সবাই আমাকে চরিত্রহীন বলে বেদরক মারপিট করে। সুবিচারের জন্য আমি কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার বাবার বাড়ির পরিবারের সবাইকে মোবাইলে হুমকি দিতেছে। আর যদি মামলা তুলে না নেই তাহলে তালাক দিবে বলেও আমার স্বামী আমাকে ফোন করেছে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ কর্মকর্তা কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview