কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই মাদরাসাছাত্র ও দুই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বেলা দেড়টার দিকে তাদের কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট (সদর আমলী আদালতের) রেজাউল করিমের আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নিশিকান্ত দাস জানান, ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীন দায়ের করা মামলায় আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই মাদরাসাছাত্রের ১০ দিন এবং শিক্ষকদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া ইবনে মাস্উদ (রা.) মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং শিক্ষক আল-আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলী (২৬)।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়ার শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত ও মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজের সাহায্যে ভাঙচুরে জড়িত দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করে। পরে দুই ছাত্রকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগে একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককেও গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।