Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ শনিবার, মে ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে ৩০ কোটি টাকার মালিক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩২ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩২ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ কুমিল্লার দেবিদ্বারের মেয়ে সাদিয়া জান্নাত ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস গত ১১ বছর ধরে পত্রিকায় ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার একটাই পরিচয়, তিনি কানাডায় বসবাসরত ডিভোর্সি ও সন্তানহীন নারী। এভাবে তিনি প্রায় ৩০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এসএসসি পাস না করলেও পোশাক এবং তার কথাবার্তায় স্মার্টনেসের কারণে কানাডা প্রবাসী বলে লোকজনের বিশ্বাস জন্মাতে সমর্থ হয়। অনেকেই তার ফাঁদে পড়ে খুইয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জান্নাতুল তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে এই প্রতারণা শুরু করেন। ঢাকা ও এর আশপাশে তার ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিআইডি।

গত ৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কানাডার সিটিজেন ডিভোর্সি সন্তানহীন বয়স ৩৭, ৫.৩ ফুট লম্বা নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চাই। যোগাযোগের জন্য ঠিকানা- বারিধারা’।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে মো. নাজির হোসেন প্রতারক সাদিয়া জান্নাতের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে গত ১২ জুলাই গুলশান-১ থাই সিগনেচার রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। বিয়ের পর তাকে কানাডায় নিয়ে যাবেন। সেখানে তার ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা দেখভাল করবেন।

সাদিয়া জান্নাতের এসব কথায় বিশ্বাস করে ভুক্তভোগী প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট দেন। পরে প্রতারক সাদিয়া জান্নাত জানায়, কানাডায় প্রচণ্ড শীত তাই, সেখান থেকে তার ২০০ কোটি টাকা ফেরত নিয়ে আসবেন। পরে দেশেই ব্যবসা করবেন।

শেখ রেজাউল হায়দার জানান, ওই টাকা ডিএইচএল এর মাধ্যমে ফেরত আনতে ভুক্তভোগী নাজির হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে ফোন বন্ধ করে দেন।

সাদিয়া জান্নাতের একটি হিসাবের খাতা উদ্ধার করেছে সিআইডি। সিআইডির কর্মকর্তারা আরো জানান, সেখানে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার হিসাব আমরা পেয়েছি। তার চারটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। সেখানে আমরা ১ কোটি টাকা পেয়েছি।

সংবাদপত্রে এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের অনেক পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ৩টি মেমোরি কার্ড, ৭টি সিল, অসংখ্য সিম ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা টাকার একটি হিসাব বই উদ্ধার করা হয়।

Bootstrap Image Preview